কুষ্টিয়ায় দুই পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় পদ্মা নদীতে পুলিশের দুই সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হত্যার মামলার প্রধান আসামি ইয়ারুল শেখ (৪০) গ্রেপ্তার হয়েছেন। সোমবার দুপুরে কয়া ইউনিয়নের বেড় কালোয়া গ্রামে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। ইয়ারুল শেখ ওই গ্রামের মৃত বদর উদ্দিন শেখের ছেলে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান শেখ জানান, ইয়ারুল শেখ দুই পুলিশ সদস্য হত্যা মামলার প্রধান আসামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে নাশকতাসহ আরও পাঁচটি মামলা রয়েছে। মামলাটি বর্তমানে নৌ পুলিশের তদন্তাধীন এবং তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর ভোরে আসামি ধরতে গিয়ে কুমারখালীর বেড় কালোয়া এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন পুলিশের একটি দল। এ সময় দুই পুলিশ সদস্য এএসআই সদরুল আলম ও এএসআই মুকুল হোসেন নৌকা থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। পরদিন দুপুরে সদরুল আলমের লাশ ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এক দিন পর পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ এলাকায় পদ্মা নদী থেকে মুকুল হোসেনের লাশ উদ্ধার করে নাজিরগঞ্জ নৌ পুলিশ ফাঁড়ি।
এ ঘটনায় কুমারখালী থানার এসআই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যেখানে ইয়ারুল শেখসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়। একই ঘটনায় অভিযানে পুলিশের সঙ্গে থাকা কয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছানোয়ার হোসেন সেলিম আরও একটি মামলা করেন, যেখানে ৩৭ জনকে আসামি করা হয়। দুটি মামলাতেই আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।