ঘুষের বিনিময়ে নিয়মিত চিরকুট লেনদেন আওয়ামী নেতারা জেলে বহাল তবিয়াতে

জেল সুপার এবং জেলারদের মদদে বহাল তবিয়াতে আছেন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দগণ। ইদের পরেই মিলবে জামিন এমন আশ্বাস পাওয়া যাচ্ছে চিরকুটে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেল বন্দি আওয়ামী নেতৃবৃন্দের কিছু চিরকুট ফাঁস হতে দেখা গিয়েছে। যেখানে স্পষ্ট ভাবে তাদের ভিআইপি মর্যাদা এবং অভানীয় সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তির কথা জানা গিয়েছে।
অনুসন্ধান করে জানা গিয়েছে, রাজধানী মগবাজার এলাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা ও বিএনপি নেতৃবৃন্দকে হত্যা চেষ্টা মামলায় আটক হওয়া আসামী, সাবেক সাংসদ গোলাম কিবরিয়া টিপু নিয়মিত জেলথেকে অবৈধ উপায়ে যোগাযোগ করে যাচ্ছেন।
ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে জেল সুপার এবং কয়েকজন জেলারকে ব্যক্তিগত প্রভাবের মাধ্যমে হস্তগত করে কিছু কারারক্ষীর মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
ফাঁস হওয়া কিছু চিরকুট এবং গোপন তথ্য সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে যে, প্রতিটি চিরকুটের পৌছানোর জন্য এক হাজার টাকা ঘুষ প্রদান করছেন সাবেক এই সাংসদ। সূত্র মারফত আরো জানা গিয়েছে, জেলের আভ্যন্তরে বহাল তবিয়াতে রয়েছেন আওয়ামী নেতৃবৃন্দরা। একেকটি বন্দিশালা একেকটি রাজনৈতিক কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে। সবাই যার যার মতো উপায় অবলম্বন করে যোগাযোগ করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রয়াস চালাচ্ছেন।
একটি চিরকুটের বক্তব্য বিশ্লেষণ করে আরো জানা যায় যে, আসন্ন ইদের পরেই ঢালাও ভাবে জামিন পেয়ে যাবেন আওয়ামী নেতারা এমন আশ্বাস প্রদান করা হচ্ছে গোপন বার্তা মারফতে। জামিনের পর আরো বেগবান হয়ে একটি সুসংগঠিত প্রতিরোধ গড়ার জন্য আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দকে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
ঘুষের বিনিময়ে চিরকুট চালাচালির বিষয়ে জানতে, মুঠোফোনে জেল সুপার এবং কয়েকজন জেলারকে সংযুক্ত করার চেষ্টা করা হলেও কারো সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয় নি।
বিষয়টি নিয়ে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, জেলের আভ্যন্তরের নজরদারী আরো জোরদার করা প্রয়োজন। এবং একজন জেলবন্দীর সঙ্গে জেলকোড এর বাহিরে ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরী কিংবা সুবিধা প্রদান করা অফিসারদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি, তাদেরকে যথাযথ শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।