রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন

প্রস্রাব চেপে রেখে নামাজ পড়া যাবে কি?

Reporter Name / ৩৭ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

অনেকে এক নামাজের অজু দিয়ে আরেক নামাজ পড়তে চান। এতে করে অনেক সময় প্রস্রাবের চাপ নিয়েই নামাজ পড়েন। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। শরিয়তের দৃষ্টিতে এটা মাকরুহ তাহরিমি। পায়খানা বা বায়ুর চাপ নিয়ে নামাজ পড়াও মাকরুহ তাহরিমি। কারণ এতে নামাজের খুশু-খুজু নষ্ট হয়, নামাজে মনোযোগ থাকে না।

হাদিস ও ফেকাহের কিতাবে প্রস্রাব-পায়খানা ও বায়ুর চাপ নিয়ে নামাজ আদায় করতে নিষেধ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আরকাম রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, যখন নামাজ দাঁড়িয়ে যায়- আর তোমাদের কারও প্রস্রাব-পায়খানার প্রয়োজন দেখা দেয়; সে যেন প্রথমে প্রয়োজন সেরে নেয়। (জামে তিরমিজি, হাদিস-১৪২)

সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, অন্যের ঘরের ভেতরে অনুমতি ছাড়া তাকানো কারও জন্য বৈধ নয় এবং কেউ যেন প্রস্রাব-পায়খানার চাপ নিয়ে নামাজ না পড়ে। (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)

উপরোক্ত হাদিস ও বর্ণনার ওপর ভিত্তি করে ইসলামি স্কলাররা বলেছেন, প্রস্রাব-পায়খানা এবং বায়ুর চাপ নিয়ে নামাজ আরম্ভ করা মাকরূহে তাহরিমি। আর স্বাভাবিক অবস্থায় নামাজ শুরু করার পর নামাজের মাঝে এমন চাপ সৃষ্টি হলে নামাজের পর্যাপ্ত ওয়াক্ত বাকি থাকা সত্ত্বেও এ অবস্থায় নামাজ চালিয়ে যাওয়া মাকরূহ। এ ধরনের ক্ষেত্রে নামাজ ছেড়ে দিয়ে প্রয়োজন শেষ করে পূর্ণ চাপমুক্ত হয়ে নামাজ আদায় করা কর্তব্য।

তবে হ্যাঁ, নামাজের ওয়াক্ত যদি এত কম থাকে, যাতে প্রয়োজন সারতে গেলে নামাজ কাজা হয়ে যাবে; তাহলে সম্ভব হলে এ অবস্থায়ই নামাজ পড়ে নিবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর