শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন

সাদা ইঁদুরের খামার গড়ে তুলেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসির উদ্দিন

Reporter Name / ৪৩ Time View
Update : রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪

ইঁদুরের জ্বালাতনে অতিষ্ট হ্যামিলন শহর আর ‘হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা’র গল্প নিশ্চয় মনে আছে। তবে সব ইঁদুরই এমন জ্বালাতন করে না। কিছু ইঁদুর মানুষের গবেষণা কাজেও সহযোগিতা করে। সেগুলোর একটি সুইচ অ্যালবিনো প্রজাতির সাদা ইঁদুর। আর এই সুইচ অ্যালবিনো প্রজাতির সাদা ইঁদুরের বাণিজ্যিক খামার গড়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ার উদ্যোক্তা নাসির উদ্দিন। ইঁদুরের এ খামারকেই বড় পরিসরে গড়ে তোলার প্রত্যাশা তার। চাকরি জীবন শেষে শুরুতে তিনি হাঁস-মুরগী পালন করেছেন।

তবে তাতে গুনতে হয়েছে লোকসান। এরপর বিকল্প ভাবনা। ইউটিউবে ইঁদুর পালনের ভিডিও দেখেই অনুপ্রাণিত হন নাসির। তারপর যেমন ভাবা তেমন কাজ। রাজধানীর কাটাবন থেকে সংগ্রহ করেন সুইজারল্যান্ডের অ্যালবিনো প্রজাতির ১০টি ইঁদুর। কিনতে লেগেছে ৫ হাজার টাকা। ক্ষুদ্র খামারি নাসির উদ্দিন বলেন, ইউটিউবে একদিন দেখলাম একজন ইঁদুর পালন করছে। সেটা দেখেই মনে আগ্রহ জাগলো। তারপর খোঁজাখুঁজি শুরু করলাম। আমার এক বন্ধু ঢাকা থাকতো।

তাকে জানালে সে ব্যবস্থা করে দেয়। জানালেন, ৪০ দিন পরপর ৮ থেকে ১৫টি করে বাচ্চা দেয় এই জাতের ইঁদুর। দৈনিক খাবার বাবাদ খরচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা। পরিচর্চায় সহযোগিতা করেন পরিবারের সদস্যরাও। বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে আসছে অর্ডার। বর্তমানে বড় আকারের একটি ইঁদুর ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি করছেন নাসির। নাসির বলেন, ইঁদুর মারা গেলেও এর কঙ্কাল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজে লাগে। তারা অর্ডার দেয়। শুরুতে নাসিরের এই পদক্ষেপকে ভালোভাবে নেননি এলাকাবাসী। এখন দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। অনেকেই ঝুঁকছেন ইঁদুর লালন-পালনে। বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে ২ শতাধিক ইঁদুর রয়েছে খামারটিতে।




আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

More News Of This Category

এক ক্লিকে বিভাগের খবর